ঢাকা , সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫ , ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​ঘাটতি নেই তবু দাম বাড়তি

রোজাকে কেন্দ্র করে শাক-সবজির দাম বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৩-০৩-২০২৫ ০২:০৪:৩১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৩-০৩-২০২৫ ০৪:২৬:১৮ অপরাহ্ন
রোজাকে কেন্দ্র করে শাক-সবজির দাম বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা ​ছবি: সংগৃহীত
শাক-সবজির ভরা মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। তবুও রোজাকে কেন্দ্র করে প্রচলিত বিভিন্ন শাক-সবজির বাড়তি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। খুচরা বাজারে প্রায় প্রতিটি সবজিতেই সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম চাইছেন তারা। এক্ষেত্রে গত সপ্তাহের তুলনায় সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে লম্বা বেগুন, করলা এবং কাঁচামরিচের। এসব সবজির মধ্যে লম্বা বেগুন ও করলা ১২০ টাকা কেজি এবং কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরের মাটিকাটা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সেখানকার সবজির দোকানগুলোতে নতুন গোলআলু, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, ঢেঁড়শ, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ বিভিন্ন শাক-সবজি ভরপুর।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসবের মধ্যে করলা ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ১২০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ মানভেদে ৮০-৯০ টাকা, নতুন গোলআলু ৪০ টাকা, টমেটো আকার ও মানভেদে ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, ক্ষিরা ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৪০-৪৫ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা এবং পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচকলা ও লেবু হালি প্রতি যথাক্রমে ৫০ ও ৬০-১২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আর লাউ, ফুলকপি, পাতাকপি, মিষ্টি কুমড়া আকৃতি ও মানভেদে ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বিভিন্ন শাক বিক্রি হচ্ছে আঁটি হিসেবে (১০-২০ টাকা)।

বিক্রেতারা জানান, সবজির দাম পাইকারি পর্যায়ে বাড়তি। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তারা মনে করছেন, এখন আর দাম কমার সুযোগ নেই। কারণ, শীতকালীন সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারী বৃষ্টি হলেই সবজির দাম আরও বেড়ে যাবে।

আবুল হোসেন নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহেও কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা এবং লম্বা বেগুন ৫০-৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি করেছি। কিন্তু রোজার ঠিক আগ মুহূর্তে এসব সবজির দাম বেড়ে গেছে। আবার লেবু-শসার দামও বেড়েছে। পাইকারিভাবেই যখন কিনতে আমাদের বেশি টাকা লাগে তখন খুচরা বাজারেও বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হয়। তবু ভ্যান গাড়িতে যারা বিক্রি করি তাদের দোকান ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ নেই। যার কারণে কিছুটা কম রাখা যায়। রোজার মধ্যে এসব সবজির দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম।

আশিকুর নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, বেগুনি ও শরবতের জন্য লম্বা বেগুন ও লেবুর চাহিদা বেশি। যার জন্য দামও বেশি। আর অন্য শাকসবজির দাম বেশি বাড়েনি। এখনও বাজারে সরবরাহ ভালোই। শীতকালীন সবজিও শেষ হয়নি। তাই কয়েকটি সবজি ছাড়া অধিকাংশ গুলোর দামই ক্রেতার নাগালের মধ্যে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেই এই সবজি বিক্রেতা।


বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ